মামা সমগ্র প্রকাশিত হওয়ার পর মামাদের নিয়ে আরো কিছু লেখা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এছাড়াও মামাদের নিয়ে আগের কিছু লেখা পরবর্তীকালে খুঁজে পাওয়া গেছে যেগুলো মামা সমগ্র থেকে বাদ পরে গেছে। সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের মামাদের নিয়ে সেইরকম মজার উপন্যাস ও গল্প এই সংকলনে প্রকাশিত হল। আশা করি, ন’টি উপন্যাস ও চারটি গল্প নিয়ে প্রকাশিত ‘আরো মামা’ বইটি ‘মামা সমগ্র’র মতোই পাঠকমহলে সাড়া ফেলবে।
গল্পসূচি দর্শনী ভর হাতছানি বিশ্বাসে মিলায় স্বপ্নের শহর ও পাঁচ প্রেতের গল্প বুনো কুকুরের দেবতা সঠিক সম্পর্ক একটু উষ্ণতার জন্য উপহারের দাম টুকলি করবেন না ধুলো বাড়িটা
“…নাউ আই উইল শিওরলি কমপ্লেইন ট্যু দ্য হোটেল অথরিটি। আমি বললাম, তার সময় হয়তো আপনি আর পাবেন না। আমি ডিডি। দ্য গ্রেট দেবদূত দত্ত। চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায়। বুড়ো জিজ্ঞেস করল, about what? উত্তর দিলাম, ডাইরেক্টলি মেল সামবডি ট্যু যমের দক্ষিণ দুয়ার। দ্য সাউথ ডোর অফ দ্য গ্রেট যমরাজ।”…
আছে এক ভাতের হোটেল। তবে, তা স্রেফ নামেই। বাংলা সাহিত্যের আর পাঁচটা ভাতের হোটেলের মতো এই হোটেল নয়। এই হোটেল যত না অদ্ভুত, তার চেয়ে বেশি অদ্ভুত খোদ হোটেলের মালিক আওলাদ মিয়া। তিনি কে? এক পৃথুলদেহী ভাতের হোটেল ব্যবসায়ী, যাঁর মুখে কাঁচা-পাকা চাপদাড়ি আছে। যিনি কিনা বছরের একটা দিন সম্পূর্ণ অচেনা লোকদের নিয়ে গল্পের আড্ডা …
বখতিয়ারের অষ্টাদশ অশ্বারোহীর আক্রমণে নবদ্বীপ থেকে লক্ষ্মণ সেনের পলায়নের কাহিনি বহুচর্চিত হলেও তার পরবর্তী সংগ্রামের ইতিহাস বাঙালি বিশেষ মনে রাখে না।নবদ্বীপ জয় তুর্কিদের একটা সাময়িক বিজয় হলেও মোটামুটি এক শতাব্দী জুড়ে তুর্কিরা বহু চেষ্টা করেও বঙ্গ বিজয় সম্পন্ন করতে পারেনি। রাঢ় পাল্টা প্রতিরোধ করেছিল তন্ত্রাচার্যদের নেতৃত্বে। তারা প্রাণপণে নবদ্বীপ পুনরুদ্ধার করতে চায়। সেই সূত্রে উৎকলের …
রাত্রি জানালা বন্ধ করবার জন্যে এগিয়ে যেতেই আলম বলল, বন্ধ করবেন না। প্লিজ, বন্ধ করবেন না। সে পাশ ফিরতে চেষ্টা করতেই তীব্র ব্যথায় সমস্ত চেতনা আচ্ছন্ন হয়ে গেল। মাকে ডাকতে ইচ্ছা করছে। ব্যথার সময় মা মা বলে চিৎকার করলেই ব্যথা কমে যায়। এটা কি সত্যি, নাকি সুন্দর একটা কল্পনা?… খোলা জানালার পাশে রাত্রি দাঁড়িয়ে আছে। হাওয়ায় তার চুল উড়ছে। আহ্, কী সুন্দর দেখাচ্ছে মেয়েটাকে! বেঁচে থাকার মতো আনন্দ আর কিছুই নেই। কত অপূর্ব সব দৃশ্য চারদিকে। মন দিয়ে আমরা কখনো তা দেখি না। যখন সময় শেষ হয়ে যায় তখনি শুধু হাহাকারে হৃদয় পূর্ণ হয়। রাত্রি কী যেন বলছে। কী বলছে সে? আলম তার ইন্দ্রিয়গুলি সজাগ করতে চেষ্টা করল। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে রুদ্ধশ্বাস মর্মস্পর্শী উপন্যাস।
বইয়ের নাম – অমৃতকালের পথে। লেখক – সতীর্থ দে। দাম – Rs 349/- ফ্রিডম গ্রুপ। ISBN – 978-81-963958-5-8 একজন বাঙালি জার্নালিস্ট তানিয়া রয়ের রহস্যময় শাংরি-লা ঘাটি শাম্ভালাকে খুঁজে বের করার এক অ্যাডভেঞ্চার।
ঔপনিবেশিক ভারতের অন্ধকার-জগৎ ছিল বৈচিত্র্যময় ও সংঘাতপূর্ণ। সেই দুনিয়ারই কিছু বিচিত্রবর্ণিল আখ্যান রইল এই বইয়ে।সেকালের বাঙালি দারোগা-গোয়েন্দারারোজ ব্রাউন মৃত্যুরহস্য মাদ্রাজ হত্যা-রহস্য)ঔপনিবেশিক ভারতবর্ষে অরণ্যমাঝে সংঘটিত অপরাধমালা ও কিংবদন্তিসমূহের আখ্যানঔপনিবেশিক ভারতে অপরাধ ও পুলিশি ব্যবস্থাকায়ামকুলাম কোচ্চুনি: দক্ষিণের রবিন হুড?মুসৌরি হোটেলের রহস্যমৃত্যু: আগাথার লেখকসত্তার বুনিয়াদ?ঔপনিবেশিক ভারতের রেলপথের অপরাধমালাআগ্রার জোড়া খুন ও বিষপ্রয়োগ-ষড়যন্ত্র
লেখক কৌশিক মজুমদার সবসময়ই তাঁর বিষয়ের বাইরে বেরিয়ে পাঠকদের অন্যস্বাদের বই উপহার দেবার চেষ্টা করেছেন। এই বইয়ের পঁয়তাল্লিশটি প্রবন্ধে তিনি অনায়াসে যাতায়াত করেছেন এক বিষয় থেকে অন্য বিষয়ে। এসেছে চেনা সিনেমার অচেনা গল্প, খানাপিনার নানা ইতিহাস, আঙুলের ছাপের ইতিবৃত্ত, ফেলুদা, টিনটিন আর আবোল-তাবোলের সমান্তরাল ভাষ্য, পুরোনো কলকাতার অলিগলি, কালী সিগারেট আর তাঁর নিজের জীবন থেকে …
ভয়ের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কটা যেমন আদিমতম। একই ভাবে ভয়ের সাথে ভূত ও ভূতের সাথে বৃষ্টির সম্পর্কটাও প্রাচীনতম। আর বাঙালি জীবনে আষাঢ় মানেই বৃষ্টি। বর্ষার দিনে ভূতের গল্প যেভাবে জমে ওঠে, ভূতের গল্পতে বর্ষা ঠিক একই ভাবে গল্পটাকে জমিয়ে তোলে। এমনই আঠেরো জন নবীন ও অভিজ্ঞ লেখকদের আঠেরোটি বর্ষাস্নাত ভূতের গল্প দিয়ে সাজানো আমাদের এই নিবেদন …
ভিক্টোরিয়ান গথিক হরর মূলত নির্মিত হয় কয়েকটি অদ্ভুত পরিপ্রেক্ষিত-কে কেন্দ্র করে। পোড়ো জমিদার বাড়ি, অন্ধকার অতীতের রহস্য ও আতঙ্ক, পারিবারিক গুপ্তকথা, প্রাচীন অভিশাপ, অলৌকিক কিংবদন্তি— এসমস্ত উপাদানকে ভিত্তি করে গড়ে তোলা এইসব কাহিনি পাঠকের মনোজগতে শিহরন তোলে, এনে দেয় এক অননুভূত আবেগ ও রোমাঞ্চ। বাংলার মাটিতে ভিনদেশি এই সাহিত্যধারা সিঞ্চনের এক উদ্যোগ এই সংকলন— ‘আতঙ্ককাল’।